সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মো. শামীম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১জুলাই) সকালে জামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত যুবক মো. শামীম আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদী গ্রামের মৃত সুবেদ আলীর ছেলে। এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে এক সহযোগী নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণে বাধা দিলে তাকে কলম দিয়ে খুটিয়ে আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সোনারগাঁ থানায় ওই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজহার থেকে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাজিপাড়া গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ঘরে আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদী গ্রামের মৃত সুবেদ আলীর ছেলে মো.শামীম অজ্ঞাতনাম এক সহযোগী নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কলম দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দরজা খুলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী বাদি হয়ে গত রবিবার দুপুরে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মো. শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শামীমকে সোমবার দুপুরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করে।
ভূক্তভোগীর শশুর জাইদুল হক জানান, ৪ মাস আগে শামীর তাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। সে একজন মাদকাসক্ত। শনিবার মধ্য রাতে তার ছেলের স্ত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কলম দিয়ে আঘাত করে জখম করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগীর দেবর সজিব মিয়া জানান, অভিযুক্ত শামীমকে গ্রেপ্তারের পর তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। অভিযুক্তের পরিবারের অব্যাহত হুমকিতে তাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন