সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সোনারগাঁয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাস ভর্তি করে বাহির থেকে লোক নিয়ে শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে। অংশগ্রহণকারীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে থামিয়ে রাখায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক শনিবার প্রায় দুপুরজুড়ে স্থবির হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় যাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের তৈরি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাস্থলের লাইভ ভিডিও ও মোবাইল ক্লিপ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। দেখা যায়, টিপুরদী ও পানাম ফুড রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোর কারণে পুরো লেন সংকুচিত হয়ে যায় এবং কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের লাইনে থেমে থাকে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সোনারগাঁয়ে তেমন কোনো সক্রিয় কর্মী না থাকায় লোক সমাগম দেখাতে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বাসভর্তি করে লোক আনা হয়। এসব বাস মহাসড়কের ওপর রেখে অনুষ্ঠানস্থলে লোকজন নামানো ও অপেক্ষায় রাখার ফলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আটকে পড়া যাত্রী মোস্তফা কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—একজন নেতার শোডাউনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে থাকবে—এ কেমন উদাহরণ? রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে ছিল। এতে মানুষের অভিশাপ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি।
আরেক যাত্রী শিউলী আক্তার বলেন—আমরা দুপুর থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রাজনৈতিক শোডাউনের নামে মানুষের জীবনযাত্রায় এমন দুর্ভোগ কেন?
এদিকে সোনারগাঁ বিএনপির বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানান। তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন— আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেই বাইরের লোক এনে মহাসড়কের ওপর এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করা দলের জন্যই নেতিবাচক বার্তা।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোনারগাঁয়ে তার জনপ্রিয়তার ঘাটতি ঢাকতে সোনারগাঁয়ের বাহির থেকে লোক আনার চেষ্টা উল্টো বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাজনৈতিক শক্তি দেখানোর এ প্রবণতার কঠোর সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় এখনো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে।
এ বিষয়ে মামুন মাহমুদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন