সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা - sonargaoncrimenews

Breaking

Home Top Ad

 


Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা




সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মৃত এতু মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৬৫) ও তার ছেলে শরীফ হোসেন (২৪) বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ ও  আবুল কাশেমের ক্রয়কৃত ১৫ শতাংশ যায়গা দখলের পায়তারা করছে। এ নিয়ে মছলন্দপুর গ্রামে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হতাহতের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ক্রয়সূত্রে জমির মালিক আবুল কাশেম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


আবুল কাশেমের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে মছলন্দপুর মৌজায় দৌলরদী গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে আলম গংদের থেকে সিএস, এসএ ১৩ দাগ এবং আরএস ১৫ দাগে তাদের পৈতৃক সম্পত্তির ৫৭ শতাংশ জমি থেকে ১৫ শতাংশ জমি ২৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রেজিষ্ট্রিকৃত বায়নানামা দলিলে ক্রয় করে সাইনবোর্ড লাগানোর পর থেকেই জোরপূর্বক এ জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করছে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মাদ ও তার ছেলে শরীফ হোসেন।


সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বারদী ইউপির তৎকালিন চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক জহিরের ছত্রছায়ায় থেকে ১৬ বছর জোরপূর্বক এই জমি ভোগদখলে ছিল। সরকার পতনের পর পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক মোঃ আলম গংরা বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ ও আবুল কাশেমের নিকট ১৫ শতাংশ বিক্রি করলে জমি দখলে রাখার জন্য নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে পূনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রয়োজনে ২/৪ টা লাশ ফেলে দেয়ার হুমকি প্রদান করছে বলেও জানান এলাকাবাসী।


এলাকাবাসী আরো জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি এখন গড়াচ্ছে রাজনীতির দিকে। জমির মূল মালিক নিরীহ হওয়ায়ার কারনে জোরপূর্বক এতোদিন জমিটি আওয়ামীলীগের দখলে ছিল। সরকার পতনের পর জমিটি ক্রয় করেছেন বিএনপি নেতারা। যে কোন সময় দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে হতাহতের আশংকা করছেন তারা।


অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক আমি। আবুল কাশেমসহ ৩/৪ জন মিলে জমিটিতে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, আমিও থানায় অভিযোগ করেছি। আদালতেও একটি মামলা চলমান। আদালত তাদের পক্ষে রায় দিলে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা।


সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রাসেদুল হাসান খান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দু'পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শুনেছি বিষয়টি নিয়ে আদালতেও মামলা চললাম। আদালত যা রায় দিবে তাই হবে, তবে দু'পক্ষের মধ্যে যাহাতে কোন সংঘর্ষ না হয় আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages